সংস্কৃতি ?
কি এই জিনিসটা? ভাবলে ভাবতেই থাকবে। কিভাবে বুঝবে এটা সংস্কৃতি নাকি অপসংস্কৃতি?
কিছু জিনিস যা আমরা আমাদের মা বাবাদের থেকে শিখি বা প্রতিবেশী দেড় কাছ থেকে শিখি। এবার সকল জায়গার সংস্কৃতি আলাদা হয়. যদি চীন এ গিয়ে তাদের সংস্কৃতি এর বেপারে জিজ্ঞাসা করো তারা যেগুলো তাদের সংস্কৃতি বলবে আর ভারতবর্ষে সবাই যেটাকে সংস্কৃতি বলবে দুটো জিনিস সম্পূর্ণ আলাদা। হ্যা এই জন্যই এখন সংস্কৃতি শব্দটি নিয়ে এতো অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছে। আসলে এই শব্দটির আরেকটি মানে রয়েছে তা হলো পরিবর্তনশীলতা। কারণ ২০০ বছর আগে আমার দাদুর দাদু তাদের বাবা মা এর কাছে থেকে যে রকম শিক্ষা পেতো আর এখন একটি ছেলে বা মেয়ে তার বাবা মায়ের থেকে যে শিক্ষা পায় দুইটি সম্পূর্ণ আলাদা। বা যদি সেই সময়ে কোনো একটি নৃত্য ঠিক যেমন ভাবে করা হতো ঠিক সেই নৃত্য এখন করতে হলে তার মধ্যে অনেক পার্থক্য আমরা দেখতে পাবো কিন্তু নৃত্যশৈলীটির নাম কিন্তু পরিবর্তন হয়নি। তবুও সেটি কিন্তু আমাদের কালচার বা সংস্কৃতি থেকে গেছে।
এবার আসি অসুবিধাটা কোথায়। অসুবিধাটা হলো জেনারেশন গ্যাপ এ। যত দিন যাচ্ছে মানুষ এগিয়ে চলেছে গ্লোবালাইজেশন এর দিক এ। অর্থাৎ আগে মানুষের কাছে সমাজ বলতে ছিল তার বাবা মা বা বোরো জোর পাড়ার প্রতিবেশী রিলেটিভ। কিন্তু বর্তমানে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এসে যাওয়াতে গোটা পৃথিবীর মধ্যে একটি আলাদা সমাজ সৃষ্টি হয়েছে, এই সমাজে বড় হয়ে উঠছে এই প্রজন্ম। তো তাদের কাছে পছন্দ করার অপশন থাকছে সে কোনটা শিখবে কোন নাচ বা গান বা থিয়েটার করার পদ্ধতি তাদের পছন্দ।
আগেও মানুষএর সংস্কৃতির মধ্যে পরিবর্তন দেখা যেত। কিন্তু এখন সমাজ এর কনসেপ্ট এর পরিবর্তন হওয়াতে সংস্কৃতি তে একটা বিরাট পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। আগে পরিবর্তন যদি ১ থেকে ২ বা বড়জোর ৩ গুন্ হারে হতো এখন সেটা ২০ বা ৩০ গুন্ গতিতে পরিবর্তন হচ্ছে। আর এই বিষয়টা হয়েছে ইন্টারনেট আসার পর। আর এই জন্য একটি জেনারেশন গ্যাপ এ যে মারাত্মক পরিবর্তন হয়েছে সেটিকে সংস্কৃতি হিসাবে মেনে যাতে রাজি নন আগের জেনারেশন এর মানুষজণ।
যেমন ধরুন আগে তারা রিসার্চ করে ভারতীয় নৃত্যকলা গুলি থেকে বিশেষ করে কথাকলি এবং মনিপুরী নৃত্য এর মিশ্রণ এ রবীন্দ্রনৃত্য তৈরী করেছেন। এই ক্ষেত্রে তারা বলবেন এটা সংস্কৃতি কিন্তু এখন কথক নৃত্য এর সাথে টয়ার্কিং স্টাইল এর মিশ্রণ এ একটি নৃত্য শৈলী তৈরী করলে সেটা অপসংস্কৃতি হয়ে যাবে কারণ আপনি যেটা মিশ্রণ করছেন সেটা বিদেশের নৃত্যশৈলী। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে এখন মানুষ পুরো পৃথিবীর সাথে কানেক্টেড। এবার আপনি যেটা এখন করছেন সেটা সম্পূর্ণ আলাদা আর এটার জন্ম ভারতবর্ষে অতএব এটি একটি ভারত এর মানুষেরই মানসিকতা যেটা এখানে থেকেই এসেছে। হুট্ করে বাইরে থেকে চলে আসেনি। অতএব এটাও একটা সংস্কৃতি এর পার্ট। ভবিষ্যতে এটাকে আমাদের সংস্কৃতি বললে ক্ষতি কি?
দেখুন সংস্কৃতি কে বিস্তার হতে দিন. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর চিন্তায় তিনি যখন বিশ্বভারতী তে নাচ শেখাতেন মেয়েদের তখন সেটাকে অপসংস্কৃতি আখ্যা দেয়া হয়। বলা হয়েছিল তিনি শরীরচর্চা এর প্রোগ্রাম করান তাও বহু মানুষের বহু মত অনেকে তো বলেছিলো না থাকে তা আর নাই বললাম। তেমন ই এখন আপনার যেটা উন্মুক্ত চিন্তা ধারা সেটাকে আপনার সমাজ বলতেই পারে এটা অপসংস্কৃতি। কিন্তু পৃথিবীটা অনেক বড়ো। চিন্তার বিস্তার করুন। যখন উদয়শঙ্কর বিদেশের নৃত্যের সাথে দেশের নৃত্য মিশ্রণ করে নতুন স্টাইল তৈরী করছেন সেটা সংস্কৃতি হয়ে যেতে পারে তবে আপানি কেও পারবেন না ? আর সমাজ কি বলবে বলা মানুষদের উদ্যেশে আমার একটাই কথা আপনি আজ আপনার পাড়ায় রবীন্দ্রচর্চা করছেন আর বলছেন এটাই আমাদের সংস্কৃতি কিন্তু একবার ভেবে দেখুন আপনার ছেলে যখন নতুন কিছু সমাজে তুলে ধরতে চাইছে সেটাকে আটকে দিয়ে বলেছেন এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়। হয়তো আপনি নতুন কাউকে রবীন্দ্রনাথ হতে আটকাচ্ছেন। এটাও কিন্তু ক্রাইম। সবাইকে তার সমাজ ও সংস্কৃতি এর বিস্তার করতে দিন নিজের কাছে সমাজ এর বিবরণটাকে এটাই ইতিগজ বলে চালিয়ে দেবেন না। অপসংস্কৃতি শব্দ টা সংস্কৃতি হতে বেশি সময় লাগে না। আসলে অপসংস্কৃতি বলে কিছু নেই। আর আপনি না শিল্পী ? নতুন ভাবনার সৃষ্টি করে যাও .....
কি এই জিনিসটা? ভাবলে ভাবতেই থাকবে। কিভাবে বুঝবে এটা সংস্কৃতি নাকি অপসংস্কৃতি?
কিছু জিনিস যা আমরা আমাদের মা বাবাদের থেকে শিখি বা প্রতিবেশী দেড় কাছ থেকে শিখি। এবার সকল জায়গার সংস্কৃতি আলাদা হয়. যদি চীন এ গিয়ে তাদের সংস্কৃতি এর বেপারে জিজ্ঞাসা করো তারা যেগুলো তাদের সংস্কৃতি বলবে আর ভারতবর্ষে সবাই যেটাকে সংস্কৃতি বলবে দুটো জিনিস সম্পূর্ণ আলাদা। হ্যা এই জন্যই এখন সংস্কৃতি শব্দটি নিয়ে এতো অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছে। আসলে এই শব্দটির আরেকটি মানে রয়েছে তা হলো পরিবর্তনশীলতা। কারণ ২০০ বছর আগে আমার দাদুর দাদু তাদের বাবা মা এর কাছে থেকে যে রকম শিক্ষা পেতো আর এখন একটি ছেলে বা মেয়ে তার বাবা মায়ের থেকে যে শিক্ষা পায় দুইটি সম্পূর্ণ আলাদা। বা যদি সেই সময়ে কোনো একটি নৃত্য ঠিক যেমন ভাবে করা হতো ঠিক সেই নৃত্য এখন করতে হলে তার মধ্যে অনেক পার্থক্য আমরা দেখতে পাবো কিন্তু নৃত্যশৈলীটির নাম কিন্তু পরিবর্তন হয়নি। তবুও সেটি কিন্তু আমাদের কালচার বা সংস্কৃতি থেকে গেছে।
এবার আসি অসুবিধাটা কোথায়। অসুবিধাটা হলো জেনারেশন গ্যাপ এ। যত দিন যাচ্ছে মানুষ এগিয়ে চলেছে গ্লোবালাইজেশন এর দিক এ। অর্থাৎ আগে মানুষের কাছে সমাজ বলতে ছিল তার বাবা মা বা বোরো জোর পাড়ার প্রতিবেশী রিলেটিভ। কিন্তু বর্তমানে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এসে যাওয়াতে গোটা পৃথিবীর মধ্যে একটি আলাদা সমাজ সৃষ্টি হয়েছে, এই সমাজে বড় হয়ে উঠছে এই প্রজন্ম। তো তাদের কাছে পছন্দ করার অপশন থাকছে সে কোনটা শিখবে কোন নাচ বা গান বা থিয়েটার করার পদ্ধতি তাদের পছন্দ।
আগেও মানুষএর সংস্কৃতির মধ্যে পরিবর্তন দেখা যেত। কিন্তু এখন সমাজ এর কনসেপ্ট এর পরিবর্তন হওয়াতে সংস্কৃতি তে একটা বিরাট পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। আগে পরিবর্তন যদি ১ থেকে ২ বা বড়জোর ৩ গুন্ হারে হতো এখন সেটা ২০ বা ৩০ গুন্ গতিতে পরিবর্তন হচ্ছে। আর এই বিষয়টা হয়েছে ইন্টারনেট আসার পর। আর এই জন্য একটি জেনারেশন গ্যাপ এ যে মারাত্মক পরিবর্তন হয়েছে সেটিকে সংস্কৃতি হিসাবে মেনে যাতে রাজি নন আগের জেনারেশন এর মানুষজণ।
যেমন ধরুন আগে তারা রিসার্চ করে ভারতীয় নৃত্যকলা গুলি থেকে বিশেষ করে কথাকলি এবং মনিপুরী নৃত্য এর মিশ্রণ এ রবীন্দ্রনৃত্য তৈরী করেছেন। এই ক্ষেত্রে তারা বলবেন এটা সংস্কৃতি কিন্তু এখন কথক নৃত্য এর সাথে টয়ার্কিং স্টাইল এর মিশ্রণ এ একটি নৃত্য শৈলী তৈরী করলে সেটা অপসংস্কৃতি হয়ে যাবে কারণ আপনি যেটা মিশ্রণ করছেন সেটা বিদেশের নৃত্যশৈলী। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে এখন মানুষ পুরো পৃথিবীর সাথে কানেক্টেড। এবার আপনি যেটা এখন করছেন সেটা সম্পূর্ণ আলাদা আর এটার জন্ম ভারতবর্ষে অতএব এটি একটি ভারত এর মানুষেরই মানসিকতা যেটা এখানে থেকেই এসেছে। হুট্ করে বাইরে থেকে চলে আসেনি। অতএব এটাও একটা সংস্কৃতি এর পার্ট। ভবিষ্যতে এটাকে আমাদের সংস্কৃতি বললে ক্ষতি কি?
দেখুন সংস্কৃতি কে বিস্তার হতে দিন. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর চিন্তায় তিনি যখন বিশ্বভারতী তে নাচ শেখাতেন মেয়েদের তখন সেটাকে অপসংস্কৃতি আখ্যা দেয়া হয়। বলা হয়েছিল তিনি শরীরচর্চা এর প্রোগ্রাম করান তাও বহু মানুষের বহু মত অনেকে তো বলেছিলো না থাকে তা আর নাই বললাম। তেমন ই এখন আপনার যেটা উন্মুক্ত চিন্তা ধারা সেটাকে আপনার সমাজ বলতেই পারে এটা অপসংস্কৃতি। কিন্তু পৃথিবীটা অনেক বড়ো। চিন্তার বিস্তার করুন। যখন উদয়শঙ্কর বিদেশের নৃত্যের সাথে দেশের নৃত্য মিশ্রণ করে নতুন স্টাইল তৈরী করছেন সেটা সংস্কৃতি হয়ে যেতে পারে তবে আপানি কেও পারবেন না ? আর সমাজ কি বলবে বলা মানুষদের উদ্যেশে আমার একটাই কথা আপনি আজ আপনার পাড়ায় রবীন্দ্রচর্চা করছেন আর বলছেন এটাই আমাদের সংস্কৃতি কিন্তু একবার ভেবে দেখুন আপনার ছেলে যখন নতুন কিছু সমাজে তুলে ধরতে চাইছে সেটাকে আটকে দিয়ে বলেছেন এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়। হয়তো আপনি নতুন কাউকে রবীন্দ্রনাথ হতে আটকাচ্ছেন। এটাও কিন্তু ক্রাইম। সবাইকে তার সমাজ ও সংস্কৃতি এর বিস্তার করতে দিন নিজের কাছে সমাজ এর বিবরণটাকে এটাই ইতিগজ বলে চালিয়ে দেবেন না। অপসংস্কৃতি শব্দ টা সংস্কৃতি হতে বেশি সময় লাগে না। আসলে অপসংস্কৃতি বলে কিছু নেই। আর আপনি না শিল্পী ? নতুন ভাবনার সৃষ্টি করে যাও .....